দলিল তল্লাশি করার নিয়ম

দলিল তল্লাশি করার নিয়ম লিখে যেহুতু আপনি গুগলে সার্চ করেছেন। সেহুতু আপনার এই গুরুত্বপূন্য নতির প্রয়োজন। প্রথমেই আমরা জানি তল্লাশি মানে কি ? তল্লাশি হলো খোজাখোজি করা। মানে কোনো কিছুকে খোজানো মানে তল্লাসি করা। জমির এই নথি খোজা মানেই তল্লাসি করা। সাধারণত আমরা যদি কোনো কারণে এই কাগজটি হারিয়ে ফেলি কিংবা নষ্ট হয়ে যায়। তখন আমরা তল্লাশি করি বা খোজাই।

আর এই কাগজটি খোজার নির্দিষ্টি কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মের বাইরে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। তাই আজকে আমি আপনাকে এই কানুন গুলোই বলবো ।

তল্লাশি কেনো করতে হয়

অনেক কারনেই দলিল তল্লাশি করতে হয়। মনে করেন আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে আপনি একটি জমি ক্রয় করেছিলেন। আপনি এই দলিল সংগ্রহ করেও রেখেছিলেন। কিন্তু কোনো কারনে কিংবা কোনো দূর্গঠনার কারনে আপনার দলিল নষ্ট হয়ে গেছে। অথবা আপনার এই ডকুমেন্টটি পোড়ে গেছে। কিন্তু আইনি কোনো জঠিলতার কারণে বা জমি বিক্রয়ের জন্য অথবা আপনার এই জমির যে কোনো প্রয়োজনে দলিলের প্রয়োজন পড়ল। তখন এই কাগজ তল্লাশি ছাড়া আর কোন পদ্ধতি নাই। এখন আপনার প্রয়োজন পড়বে তল্লাশি করার। আর আপনি এটাকে খোজতে হবে নির্ধারিত কিছু নিয়ম মেনে। প্রশ্ন হলো তল্লাশি কোথায় কি ভাবে করবো। তাই এ বিষয়ে কিছু দলিল তল্লাশির করার নিয়ম কানুন রয়েছে। আর সেটা জেনে রাখা ভালো।

পুরাতন দলিল কি ভাবে তল্লাশি করবো

পুরাতন দলিল তল্লাশি বলেন বা নতুন দলিলের নকল কপি বলেন। প্রতিটা কাজের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যা আমাদের অজানা থাকার কারনে নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তাই এ বিষয়ে আইনি কিছু নিয়ম জানা একান্ত জরুরী। এক্ষেত্রে দুইটি নিয়ম অবলম্বন করা যায়। একটি হলো যদি মূল দলিল থাকে, আর অন্যটি হলো যদি দলিল না থাকে। যদি মূল দলিল না থাকে তবে সে ক্ষেত্রে তল্লাশি অপরিহার্য । কেননা সূচিপত্র তল্লাসি করে আপনাকে জানতে হবে আপনার দলিলটি কার নামে ছিলো। কত সালে কখন হয়েছে। নতুবা আপনি এই দলিলের কোনো তথ্য পাবেননা। কেউ আপনাকে দেবেওনা। যদি সেটা প্রমাণ না হয় যে দলিলটি আপনার প্রয়োজন।

পুরাতন দলিল তল্লাশি করুন

দলিল তল্লাশি করার নিয়ম

আর এই দলিলটি আপনার । তাই আপনাকে তল্লাসি করে জানতে হবে কত নম্বর বালাম আর কোন রেজিষ্ট্রি বইয়ে লিপিবদ্ধ হয়েছিল। আর যদি আপনি এই বিষয় গুলো বলতে পারেন তবে তল্লাসির প্রয়োজন হবে না। আপনার বলার কারনে তারা খুব সহজে আপনার দলিলের ডকুমেন্ট পেয়ে যাবে। এবং আপনি নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটা কপিও সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি তল্লাশি করতে হয় তবে নির্ধারিত ফি দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে আপনি সেটা করতে পারেন। প্রথমত আপনি নাম দিয়ে তল্লাশি দিতে পারেন। সে হতে পারে ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা। অথবা মৌজার নাম দিয়ে। এমনকি সাল এবং তারিখ দিয়েও আপনি তল্লাসি দিয়ে আপনি আপনার কাংখিত দলিলটি পেতে পারে। দলিল নকল বা সার্টিফাইড কপি সংক্রান্ত জানুন।

উপরে উল্লেখিত নিয়ম সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে পারে। অথাবা এই নিয়ম বাতিলও হতে পারে

প্রশ্ন উত্তর

  • ১। জমির দলিল কি ভাবে তল্লাসি দিতে হয়? উত্তর:- নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে রেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়ে তল্লাশি দিতে হয়।
  • ২। দলিল তল্লাশির নিয়ম কি ? উত্তর :- উপরে কি ভাবে জমির দলিল তল্লাশি করবো এই অংশটি পড়ুন ।
  • ৩। দলিল তল্লাশির জন্য কত টাকা ফি লাগবে । উত্তর:- নির্দিষ্ট ফি পরিবর্তন হতে পারে তাই বলছিনা। আপনি সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে জেনে নিতে পারেন।
  • ৪। দলিল তল্লাশি দিতে কি কি লাগবে ? উত্তর:- দলিল লিখার তারিখ, দলিল নাম্বার, ভূমি ক্রেতার নাম, জমি বিক্রেতার নাম, মৌজার নাম ইত্যাদি যে কোনো একটি দিয়ে আপনি তল্লাশ দিতে পারবেন।
  • ৫। অনলাইনে কি জমির দলিল তল্লাসি করা হয় ? উত্তর:- জমির দলিল নির্দিষ্ট অফিসে খোজতে হয়। অনলাইনে তল্লাশি থাকলে আপনাকে তারা বলে দেবে। আপনি জেনে নিতে পারেন রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে।

আরো পড়ুন: ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পদ্ধতি

শেষকথা

পরিশেষে বলতে চাই জমির প্রতিটি নথি আপনি যত্ন করে রাখবেন। সেটা যদি হয় আপনার খাজনার দাখিলা সেটাও রাখবেন। জমির ফর্সা বা খতিয়ান এই গুলো আপনি নিজ দায়িত্বে সংরক্ষন করবেন। আর জমির দলিল অতিগুরুত্ব পূণ্য একটি বিষয়। সেটাকে আরো বেশি গুরুত্বের সহিত রাখবেন। কারণ একবার এই কাগজটি হাত ছাড়া হয়ে গেলে পরবর্তীতে দলিল তল্লাশি দিয়েও না পেতে পারেন। সুতরাং এই কাগজটি আপনি সতর্কতার সহিত রক্ষণাবেক্ষন করবেন। লিখাটি আপনার কাজে আসলে অন্যদের শেয়ার করুন। কোনা কিছুর জানার থাকলে কমেন্ট করুন। আরো জানতে আমাদের সোসাল মিডিয়ায় ফলো করুন।

Scroll to Top