মৌজা ম্যাপ ডাউনলোড করুন মোবাইল ফোন দিয়ে

জমির মালিকানা নির্ধারণের জন্য যে ভাবে খতিয়ান দলিল দরকার । তেমনি ভাবে জমির সীমানা নির্ধারণের জন্য মৌজা ম্যাপ দরকার। কারণ মৌজার ম্যাপ ছাড়া আপনি আমার জমির পরিমান নির্ণয় করতে পারবেন না । আমরা দেখে থাকি প্রায় সময় দলিলে বা খতিয়ানে জমির পরিমান যতটুকু আছে তা বাস্তবে পাওয়া যায় না। এবং আমরা সেটা বুঝতে পারিনা আমার ভাগের জমি গেলো কোথায়।

আজকে আপনারদের সেই বিষয়ে বিস্তারিত বলবো। এবং আপনি নিজেই পারবেন আপনার জমি সীমানা নির্ণয় করতে। এবং কি খাবে ম্যাপ সংগ্রহ করবেন সেটাও বলে দেয়া হবে আজকের এই আর্টিক্যালে।

মৌজা ম্যাপ কি

রাজস্ব আদায়ের সুবিধার্তে তৈরি করা এরিয়া। মুঘল আমলে একাধিক মৌজা নিয়ে পরগণা তৈরি করা হতো। আর এই সব মৌজার নকশা ও ছিলো। বরর্তমানে রাজস্ব আদায়ের জন্য একি ভাবে যে নকশা আঁকা হয়ে থাকে তাকে মৌজা ম্যাপ বলা হয়।প্রতিটা খতিয়ানের এবং মৌজার আলাদা আলাদা নকশা বা ম্যাপ রয়েছে। যার মাধ্যমে জমির সীমানা নির্ধারণ করা হয়।

আরো পড়ুন- বাংলাদেশের ভূমি তথ্য

মৌজা ম্যাপ কোথায় পাওয়া যাবে

আগেকার সময় এই নকশা সবার কাছে ছিলো না। আর সহজে পাওয়াও যেতো না। বর্তমানে স্মার্ট ভূমি সেবার কারণে খুব সহজে এই নকশা বা ম্যাপটি পাওয়া যায়। তাছাড়া স্থানীয় মোহরীদের কাছে এখন প্রায় মৌজার ম্যাপ পাওয়া যায়। নতুন জরিপের সময় যে খতিয়ান তৈরী করা হয়েছিলো সেটার সাথে নতুন নকশাও তৈরী করা হয়েছে।

আর পাবলিকের হাতে খতিয়ান দেয়ার সময় নকশাও দেয়া হয়েছে। যদি আপনি না পেয়ে থাকেন তবে আপনার আশে-পাশে কারো কাছে ঠিকি রয়েছ। অথবা স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে থেকেও আপনি সংগ্রহ করতে পারেন।

মৌজা  ম্যাপ সংগ্রহ করুন অনলাইন থেকে ঘরে বসে

বর্তমানে এরকম অনেক ভিডিও বা আর্টিক্যাল পাবেন। তবে বাস্তবতা হলো আপনি অনলাইনে সব মৌজার ম্যাপ পাবেননা। কারণ এখনো মৌজা ম্যাপ অনলাইনে যথাযথ নয়। তবে আশাকরা যায় খুব শীগ্রই সেটেলাইট ম্যাপ অনলাইনে পাওয়া যাবে।

যদি আপনার মৌজা ম্যাপ প্রয়োজন পরে তবে স্থানীয় কোনো মোহরীর কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। কারণ তাঁরা জরিপের জন্য খতিয়ানের নকশা সংগ্রহ করে থাকেন।

মৌজা ম্যাপ কেন প্রয়োজন

মনে করেন আপনার খতিয়ানে লিখা আছে জমির পরিমান এক শতাংশ। কিন্তু সরেজমিনে জরিপের পর দেখা গেলো ০.০০৩৫অযুতাংশ ভূমি কম আছে। এখন কার জমিতে এই জমিটুকু ডুকেছে কি ভাবে বুঝবেন। তখন যদি আপনি আপনার ম্যাপের মধ্যে স্কেল দিয়ে জারিপ করে নেন তবে দেখতে পারবেন বা বুঝতে পারবেন খতিয়ানে লিখা পরিমাণ ঠিক আছে কিনা।

যদি আপনি ম্যাপে এই বিষয়টি না দেখেনে তবে আপনি সিউর হতে পারবেন না প্রথমতো খতিয়ানে লিখা পরিমাণ ঠিক আছে কিনা।  যদি আপনি ম্যপের মাধ্যমে দেখেন আপনার জমির পরিমাণ ঠিক আছে তবে আশে-পাশের কারো জমির সাতে আপনার অংশ মিলে গেছে।

আরো জানুন

অনলাইন থেকে ম্যাপ সংগ্রহ করবো কি ভাবে

খতিয়ান সংগ্রহের মতো করে অনলাইন থেকে মৌজা ম্যাপও ডাউনলোড করা যায়। তার জন্য আপনাকে নাগরিক কর্ণার থেকে ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড ক্লিক করুন। এবার মৌজা ম্যাপে ক্লিক করুন।তারপর ধারাবাহিক খতিয়ানে এর মতো করে বিভাগ,জেলা, উপজেলা, মৌজার নাম দাগ অথবা খতিয়ান নাম্বার দিয়ে সার্চ করুন। তখন আপনার ম্যাপ পেয়ে যাবেন। তবে প্রথমেই আমি বলে রেখেছি সকল মৌজা ম্যাপ এখনো অনলাইনে এ্যাবোলেবল নয়।

ম্যাপের সাইর্টি ফাইড কপি কি ভাবে পাবো

ম্যাপের সার্টিফাইড কপি কিংবা খতিয়ানের  সার্টিফাইড কপি যেটাই বলেন সেটা অনলাইনে থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না। এর জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে। তখন তারা আপনাকে ডাকযোগে পাঠিয়ে দিবে আপনার আবেদনে দেয়া ঠিকানায়। আবদেন প্রক্রিয়া খতিয়ানের আবেদনে মতো।

ইতিকথা                                        

পরিশেষে বলা যায় যে মৌজা ম্যাপ অতিগুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। এবং প্রত্যেক ভূমি মালিকের উচিৎ খতিয়ানের কপির সাথে খতিয়ানের ম্যাপ এর কপিও সংগ্রহ করা। নতুবা আপনি আপনার  জমির সঠিক সীমানা বুঝতে পারবেন না। যদি এই আর্টিক্যালটি আপনার উপকারে আসে তবে অন্যদের জন্য শেয়ার করবেন। যাতে অন্যরা উপকৃত হতে পারে।

Scroll to Top