নামজারি খতিয়ান যাচাই বা আর.এস কিংবা এস.এ যেকোনো পর্চা এখন অনলাইনে ঘবে বসেই পাওয়া যায়। বর্তমানে নিজের নামে জমির পর্চা না থাকলে নামজারি করে নিজের নামে পর্চা তৈরি করে নিতে হবে। কারণ জমির মালিকার জন্য দলিলের পরেই প্রয়োজন পর্চ। আর এই পর্চা ছাড়া জমি বিক্রি বা হেবা কোনোটাই করতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমারা বিস্তারিত আলোচনা করবো এই আর্টিক্যালে।
নামজারি পর্চা বা খতিয়ান কি
পর্চা হলো আর.এস বা এস.এ পর্চা থেকে খারিজ করে যে নিজের নামে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বা খারিজ পর্চা বলা হয়। এই বিষয়ে জানতে হলে প্রথমে আমাদের কে নামজারি পর্চা কি সেটা জানা জরুরী তাই শুরুতেই এর সংজ্ঞা দেয়া হলো।
নামজারি খতিয়ান হলো নিজের নামে প্রস্তুতকৃত পর্চা। পরিভাষায় বলা যায় যে খতিয়ান বর্তমানে এস এ বা আর এস পর্চার পরে দলিল বা উত্তরাধিকার সনদের মাধ্যমে অন্যের নাম থেকে কেটে নিজর নামে নিয়ে আসা হয় তাকে নামজারি খতিয়ান বলে। কেউ কেউ এটার খারিজ খতিয়ানো বলে।
কেন নামজারি খতিয়ান লাগবে
জমির মালিকানার জন্য দলিলের পরেই খতিয়ান প্রয়োজন। আর একি খতিয়ানে একের অধিক মালিকানা থাকতে পারে । সেক্ষেত্রে যদি বর্তমান সময়ে আপনি জমির খাজনা দিতে চান তবে বিরম্বণায় পড়তে পারেন। তাছাড়া জমি বিক্রির সময় নানান সমস্যা হতে পারে। তাই আপনি আপানার নিজের অংশের জমি খারিজ বা নামজারির মাধ্যমে নিজের নামে করে নিতে পারেন।
নামজারি করতে কি কি লাগে
যদি আপনি নামজারি বা খারিজ এর চিন্তা করেন তবে প্রথমেই আমার নামে দলিল থাকতে হবে। উক্ত দলিলে বর্নিত ভূমি ঠিক থাকতে হবে। বর্ণিত খতিয়ানের পর্চার কপি থাকতে হবে। আবদেন কারীর ভোটার আইডি কার্ড । এই সব কাগজ পত্র ঠিক থাকলে আপনি আপানার কাজ শুরু করতে পারেন। আর হ্যা নামজারি খতিয়ানের আবেদনের সময় কখনো কোন ভূল তথ্য বা ডকুমেন্ট প্রদান করবেন না। এতে আপনার দুই রকমের সমস্যা হবে। প্রথমত আপনার আবেদন না মন্জুর হবে। দ্বিত্বীয়ত আপনি আইনি ভাবে জঠিলতায় পরতে পারেন।
নামজারি আবদেন কি ভাবে করবো
নামজারি আবেদন কি ভাবে করবেন এ বিষয়ে আমাদের সাইটে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এবং আপনি চাইলে সেখান থেকে খুব সহজে নামজারি খতিয়ানের আবেদন করতে পারেন। এখন নিচে থাকা ছবিটি ফলো করুন। দেখুন বুঝেন কিনা। যদি না বুঝেন তবে কি ভাবে নামজারি আবেদন করতে হয়ে সে বিষয়ের লিখাটি পড়ে সেখান থেকে আবেদন করুন।
আরো পড়ুন ই নামজারি আবেদন কি ভাবে করবেন
আবেদন না মন্জুর হলে কি করবো
প্রস্তাব না মন্জুর হলে আপনাকে কি করতে হবে সেটা জানানো হবে। কারণ নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কোনো আবেদন না মন্জুর করা হয় না। তাছাড়া এখন যদি আপনার কোনো কাগজ কম থাকে তবে সেটা সংগ্রহ করার জন্য সময় দেয়া হয় । এর পরেও যদি আপনি এই ডকুমেন্ট না মিলাতে পারেন তবে আপনার নামজারি আবেদন না মন্জুর হবে।
আবেদন একবার না মন্জুর হলে পরবর্তীতে কি আবেদন করা যাবে
হ্যা আবদেন করা যাবে। যদি আপনি নামজারি আবেদন করেন আর কোনো কারণে আবেদন বাতিল হয়ে যায়। তবে আপনি ভূল সংশোধন করে পুনঃরায় আবেদন করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে কারনে আপনার প্রস্তাব বাতিল হয়েছিলো সেটা ঠিক হয়েছে কিনা। অন্যতায় আবারো আবেদনটি না মন্জুর হতে পারে।
নামজারির ফি কি ভাবে প্রদান করবো
খারিজ খতিয়ান প্রস্তুত করতে হলে প্রথমে আবেদন করে আবেদন ফি এবং নোটিশ জারি ফি প্রদান করতে হবে। অন্যাতায় আপনার আবেদন কাযক্রম শুরু হবেনা। আর এটা প্রধান করতে পারবেন আপনার হতে থাকা মোবাইল থেকে । কি ভাবে সেটা জমা করবেন তা আবেদন শেষে অনলাইনে দেখানো হবে।
খারিজ খতিয়ান কি ভাবে সংগ্রহ করবো
আপনি ঘরে বসেই খতিয়ানের কপি সংগ্রহ করতে পারবেন। এরজন্য আপনাকে নামজারি খতিয়ানের সর্বশেষ অবস্থা লিখে সার্চ করতে হবে। অথাবা নিচের কপি সংগ্রহের জন্য কিল্ক করতে পারেন এখানে
খতিয়ানের আবেদনে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরী
যখন আবেদন করবেন তখন ভূল খতিয়ান বা দাগ কিংবা মৌজা দেয়া যাবেনা সেটা খেয়াল রাখবেন। আবেদন কারীর ভোটার আইডি কার্ড শর্তকতার সহিত দিতে হবে। প্রয়োজনীয় নতি দেখে শুনে যুক্ত করবেন। কখনো ভূল খতিয়ানের কপি বা দলিল সংযুক্ত করবেন না। সবশেষ মোবইল নাম্বারটা ভালো করে দেখে লিখবেন।
ইতি কথা
পরিশেষে বলতে চাই যদি আপনি পুরো আর্টিক্যাল পরে বিষয়টি না বুঝেন তবে কল করুন 16122 এই নাম্বারে । এবং আপনি শেয়ার করুন আপনার সমস্যা কিংবা প্রয়োজন তারা আপনাকে সাহায্য করবে। অথবা আপনি আমার ফেইজবুক পেইজে যুক্ত হয়ে আমাদের বলুন, আমারা আপনাকে সাহয্য করতে প্রস্তুত।
আজকের এই আর্টিক্যাল এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম নামজারি খতিয়ান বা নামজারি পর্চা কি। এর প্রয়োজনীয়তা সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এখানে। আমরা জানতে পারলাম নামজারি খতিয়ান কি ভাবে প্রস্তুত করা হয়।