এস এ পর্চা কি ভাবে ডাউনলোড করবেন, কোথা থেকে করবেন, কি ভাবে করবেন। আজকের আর্টিক্যালটি সাজানো হয়েছে এই বিষয়ে। জমির মালিকানার ক্ষেত্রে এই পর্চা গুরুত্বপূন্য একটি নতি। কারণ জমির মালিকানার ধারাবাহিকতা বুঝার জন্য প্রথমেইে এই কাগজটি দেখা হয়ে থাকে। কারন আর এস পর্চার আগের কাগজ হলো এটা। মালিকানার ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে এই কাগজ অতিগুরুত্ব পূণ্য। তাই উক্ত কাগজটি আপনি সংগ্র করে রাখতে পারেন। কি ভাবে ডাউনলোড করবেন এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার হবে আজকের এই প্রতিবেদনে।
এস এ বা আর এস কিংবা বি আর এস সকল পর্চা ডাউনলোড লিংক একই। তবে আপনি খতিয়ানের ধরণ সিলেক্ট করতে হবে। যেটা আপনার প্রয়োজন। এবং সেই খতিয়ান বা বা দাগ নাম্বার দিয়ে অনুসন্ধান করতে হবে।
পড়ুন খতিয়ান কি ভাবে অনুসন্ধান করবেন।
এস. এ খতিয়ান কি
এস এ বা ছাপান্ন এর রেকর্ড বলতে পাকিস্তান শাসন আমলে যে জরিপ কর হয়েছে সেটাকে বুঝায়। মানে ১৯৪৭ ইং সনের পরে যে জরিপ করা হয়েছে সেটাকে এস.এ খতিয়ান বা ছাপান্ন এর রেকর্ড বলা হয়। আর এই জরিপের মাধ্যমে জমিদারী প্রতা বিলুপ্ত হয়েছিলো। যার ফলে আবার নতুন করে জরিপের প্রয়োজন দেখা দেয়। আর এই জরিপ ১৯৫৬ ইং সনে হয়েছিল। যার ফলে মানুষ এই রেকর্ডকে ৫৬ এর রেকর্ড বা পর্চা বলে থাকে।
খতিয়ান আর পর্চার মধ্যে পার্থক্য কি
খতিয়ান আর পর্চার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। আছে শুধু নামের বা উচ্চারণের পার্থক্য। মূলত বিষয় একই। এস এ পর্চা আর এস এ খতিয়ান একি জিনিস। বর্তমান সময়ে মানুষ খতিয়ান হিসেবে বেশি পরিচিত হয়েছে। তবে আগেকার মানুষ এখনো পর্চা বলে থাকে। এমন কি ভূমি মন্ত্রণালয় ই পর্চা বলেই অনলাইনে রেখেছে।
পর্চা কি
পর্চা বিশেষ্য পদ। যার সরল অর্থ হলো জমির মালিকানা দাগ মালিকানার অংশ বা পরিমান বুঝার জন্য বিশেষ দলিল বা নথি। পরিভাষায় বললে পর্চা হলো এমন নথি যা ধারা জমির মালিকের নাম মালিকানার অংশ ও জমির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়। তাকে পর্চা বা খতিয়ান বলে। এ বিষয়ে আরো বিস্তরিত আলোচনা করা হবে। তাই পুরো আর্টিক্যালটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন।
যে সকল ডকুমেন্ট লাগবে
- ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার
- আইডি কার্ড অনুযায়ী জন্ম তারিখ।
- মোবাইল নাম্বার
কি ভাবে খতিয়ান অনুসন্ধান করবেন
প্রথমে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল বা কম্পিউটারের যে কোনো একটি বাউজার ওপেন করুন। এবার আপনার বাউজারের সার্চ অপশনে খতিয়ান অনুসন্ধান বা এস এ বা আর এস পর্চা লিখে সার্চ করুন। অথবা উপরে ডাউনলোড করুন সবুজ লিখাটিতে ক্লিক করুন। তার পর আপনার বিভাগ, জেলা , উপজেলা ধারাবাহিক ভাবে সিলেক্ট করুন। এবার আপনার মৌজার নাম বা জে.এল নাম্বার লিখুন। এখন আপনি খতিয়ান লিখে সার্চ করুন। যদি খতিয়ান জানা না থাকে তবে অধিকতর অনুসন্ধানে গিয়ে দাগ নাম্বার লিখে অনুসন্ধান করুন।
যদি এমন মেসেজ দেখায়, “আপনার খতিয়ানের কপি পাওয়া যায়নি” এই কথা মানে এটা নয় যে আপনি খতিয়ান পাবেন না। তাই আপনি আপনার খতিয়ানের কপি পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি আপনি আবেদন করেন আর আপনার খতিয়ান সঠিক হয়ে থাকে তবে আপনি আপনার খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
খতিয়ান সংগ্রহের সময় কি টাকা লাগবে
হ্যা পর্চা বা খতিয়ান সংগ্রহের সময় ফি প্রদান করতে হবে। বর্তমানে ফি হিসেবে অনলাইন কপিতে একশত টাকা চার্জ কেটে নেয়। এবং সার্টিফাইড কপির জন্য একশত চল্লিশ টাকা কেটে নেয়া হয়।
অনলাইনে খতিয়ানের ফি যদিও একশত টাকা দেখায় তবে বিকাশ এক্সট্রা চার্জ কেটে নেয়। তাই যদি শুধু মাত্র একশত টাকা আপনার বিকাশ ব্যালেন্স থাকে তবে আপনি সেটা ডাউলোড করতে পারবেন না। আপনার বিকাশ একাউন্টে একশত দুই টাকা থাকতে হবে। তবে আপনি অনলাইন থেকে খতিয়ান ডাউনলোড করতে পারবেন।
বিঃদ্রঃ ভালো করে দেখে পড়ে নিজ বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজা অপশন গুলো নির্বাচন করবেন। খতিয়ান জানা না থাকলে অধিকতর অনুসন্ধান ক্লিক করুন। দাগ জানা না থাকলে মালিকের সঠিক নাম লিখেও অনুসন্ধান করতে পারেন।
ইতিকথা
পরিশেষে বলতে চাই যদি আপনি এর পরেও বিষয়টা না বুঝেন তবে আপনি আমাদের সোসাল মিডিয়ায় যুক্ত হতে পারেন। এবং আপনার প্রয়োজন আমাদের এস এম এস বা সরাসরি কল করতে পারেন। অথবা এই পোষ্টে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা আপনার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে। লিখাটি আপনার উপকারে আসলে অবশ্যই অন্যদেরকে শেয়ার করবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
FAQ
- প্রশ্ন- বর্তমানে এস এ পর্চার প্রয়োজন আছে কি না ?
- উত্তর- হ্যা, বর্তমানে ও আগমীতেও এর প্রয়োজনীয়তা থাকবে।
- প্রশ্ন- জমির মালিকানার ধারাবাহিকতা নির্ণয়ে এস এ পর্চার প্রয়োজনিয়তা আছে কি না ?
- উত্তর- হ্যা। প্রয়োজন আছে। এরেকর্ড ছাড়া জমির মালিকানার ধারাবাহিকতা নির্ণয় করা যাবে না।