ভূমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে প্রদান করতে হয়। প্রতি শতক ভূমি কত টাকা খাজনা দিতে হবে। কত বিঘার নিচে হলে কর মওকুপ হবে। আগের কর প্রদান করা ছিলো কিনা । কিভাবে চেক করবেন। সেকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সো আজকের বিষয়টি অতিগুরুত্বপূণ্য।
খাজনা প্রদান করার সময় বর্তমানে অনেক টাকা দেখানো হয়। আর সেটা কমানোর জন্য জানতে হবে, এই জমির ভূমি উন্নয়ন কর আগে প্রদান করা হয়েছে কিনা। আর সেটা কোথায় কিভাবে চেক করতে হয় অনেকই জানেন না। না জানার কারনেই গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা।
আজকের এই আর্টিক্যাল থেকে জানতে পারবেন। কিভাবে কোথায় চেক করবেন। কিভাবে ভূমি উন্নয়ন কর কমিয়ে নেয়া যায়। তাই এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে।
ভূমির খাজনা কি
ভূমির খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর হলো- সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর। প্রথমত সরকারের নিয়ন্ত্রনে আছেন বলে একটি নিয়ম। আর দ্বিতীয়তো এই করের মাধ্যমে সরকার বুঝতে পারে এই জমি কার দখলে আছে। তাই আমাদের উচিৎ প্রতি বছর সময় মতো এই ফি প্রদান করা।
তাছাড়া বর্তমানে নির্ধারিত সময় পরে যদি আপনি পরিশোদ না করেন। তবে আপনার উপর সার্টিফিকেট মামলা হতে পারে। এমনকি আপনার জমি সরকারি খাজ জমির অন্তর্ভূক্ত হতে পারে।
আরো পড়ুন:-কি লাগবে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে
ভূমির খাজনা আগে দেয়া হয়েছে কিনা কিভাবে চেক করবো
ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে আসলেই সিএস জরিপ আমল থেকে শুরু করে বর্তমান আর এস বা বি আর এস জরিপে পর্চার হাল সন পর্যন্ত খাজনা দিতে হবে। কিন্তু এমনো হতে পারে আপনার এই জমির খাজনা পূর্বে দেয়া হয়েছে। তাহলে আপনি কেনো অতিরিক্ত টাকা প্রদান করবেন। আর এই বিষয়টি চেক করা একেবারেই সহজ। তার জন্য আপনি প্রথমেই চেক করুন আপনার পর্চার বাম পাশ্বে হোল্ডিং দেয়া আছে কিনা। অথবা পর্চার যেকো জায়গায় H লিখে কোনো নাম্বার আছে কিনা।
যদি থাকে তবে আপনি জেনে নিবেন আপনার খাজনা পূবে প্রদান করা হয়েছে। এখন আপনি এই হোল্ডিং নাম্বার দিয়ে সেটা স্থানীয় ভূমি অফিসে চেক করতে পারবেন। যদি আপনি ক্রয় সূত্রে জমির মালিক হোন। তবে দলিল রেজিষ্টারির সময় আপনি নিশ্চই কর প্রদান করছেন।
অনলাইনে ভূমির খাজনা চেক করবো কিভাবে
যদি আপনি অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে কর প্রদান করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি চেক করতে পারবেন। আর যদি আপনি অনলাইনে কখনো না দেন তবে পারবেন না। আর অনলাইনে চেক করান জন্য প্রথমে আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। তারপর আপনি আপনার একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে।
এবং সেখান থেকে হোল্ডিং অপশনে ক্লিক করতে হবে । তখন সেখানে আপনার প্রদানকৃত প্রতিটি খতিয়ানের তালিকা থাকবে। তাছাড়া দাখিলা অপশন থেকে আপনি চাইলে রশিদ প্রিন্ট করে নিতে পারেন।
ভূমির খাজনা দেয়ার পদ্ধতি
প্রথমে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তার পর ভোটার আইডি কার্ড দ্ধারা একাউন্ট ভেরিফিকেশন করতে হবে। সবশেষ খতিয়ানের আবেদন করতে হবে। মানে আপনি যে খতিয়ানের খাজনা দিতে চাচ্ছেন সেই খতিয়ানের কপি সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। অনুমোদন হওয়ার পরে আপনি হোল্ডিং অপশন থেকে বিস্তারিত অপশনে ক্লিক করুন। এখান থেকে খাজনা প্রদান করে নিতে পারবেন।
যদি আপনি একাউন্ট করতে না পারেন তবে আমাদের সাইটে কিভাবে একাউন্ট করতে হয় বিস্তারিত দেয়া আছে সেখান থেকে দেখে নিতে পারেন। আর্টিক্যালটি বড় হয়ে যাবে তাই এখানে সে বিষয়ে বিস্তারিত লিখছিনা। বিস্তারিত জানুন।
ভূমির খাজনা কমাবো কিভাবে
ভূমির খাজনা কমানো বলতে কোনো নিয়ম বা সুযোগ নাই। কারণ পরিমান আর শ্রেণি ভেদে যে টাকা আসে তার কম বা বেশি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে আপনি যদি পূর্বের রশিদ বা কোনো ডকুমেন্ট সাথে রাখেন। যার মাধ্যমে প্রমাণ হয় আপনি আগে খাজনা দিয়েছেন। তবে যত বছর দেয়া আছে সেই টাকা কমানো যাবে। জেনে রাখা ভালো যদি আপনি তিন বছরের উর্ধ্বে বকেয়া রাখেন তবে মূল টাকার সাথে সুদ আসবে।
খাজনা মওকুপ করা হয় কিভাবে
জমির খাজনা মওকুপ বলতে ২৫ বিঘার নিচে যাদের জমি তাদের জন্য মওকুপ। তবে সেজন্য কিছু শর্ত জুরে দেয়া হয়েছে। প্রথমতো আপনি কৃষি নির্ভশীল পরিবার হতে হবে। আর আপনার পরিবারের কেই সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরি করতে পারবেন না। মূল কথা আপনার পরিবারের সবাই কৃষক হতে হবে। আর সরকার কৃষি প্রনোধনা হিসেবে ভূমি উন্নয়ন কর মওকুপ করে থাকে।
অনলাইনে ভূমির খাজনা কমবো কিভাবে
অনলাইনে বা অফলাইনে উভয় জায়গায় আপনার কাছে ডকুমেন্ট থাকতে হবে। অনলাইনে জমির খাজনা কমানোর জন্য আপনি আপনার ভূমি উন্নয়ন করের একাউন্টে লগইন করুন। এবার হোল্ডিং থেকে বিস্তারিত অপশনে গিয়ে আপত্তি করুন। যদি আপনার আপত্তির গ্রহণ যোগ্য হয় । তবে আপনার জমির খাজনা কমিয়ে দেয়া হবে। অন্যতায় আপনার খাজনা কমানো যাবে না।
ইতিকথা
পরিশেষে বলতে চাই ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করতে হলে আপনাকে অনলাইনে প্রদানক করতে হবে। তাছাড়া আপনি যদি হাল সন পর্যন্ত পরিশোধ না করেন । তবে আপনি লোন কিংবা রেজিষ্ট্রি কোনটাই করতে পারবেন না। তাই আমার পরামর্শ হলো প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে খাজনা পরিশোদ করা ভালো। তখন আপনাকে এক সাথে এতো টাকা গুনতে হবে না।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। দেখা হবে আরো কোনো নতুন টপিক নিয়ে। যদি পোষ্টটি আপনার উপকারে আসে তবে অন্যদের শেয়ার করতে ভূলবেন না।