আর এস পর্চা হলো বর্তমান পর্চা। আর অনলাইন থেকে সংগ্রহ করার সময় অবশ্যই বি আর এস সিলেক্ট করবেন। মানে ১৯৫০ সালের জমিদারী প্রথা শেষ হওয়ার পরে, ভূমি জরিপের প্রয়োজন দেখা দেয়। আর তখন সেই জরিপের নাম দেয়া হয়েছিল এস এ জরিপ।
আজাকের এই আর্টিক্যালে আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আর এস মানে কি ? কেনো এই জরিপ করা হয়েছে। এই খতিয়ান কোথায় পাবে, কিভাবে পাবে সব বিষয় বলা হবে। তাই আজকের লিখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।
আর এস খতিয়ান কি
বর্তমান খতিয়ান হলো রিভিশনাল সার্ভে। মানে এস এ খতিয়ানের ক্রটি গুলো হ্রাস করার জন্য সরকার যে জরিপ চালু করে ছিলো, সেটাকে আর এ জরিপ বলে। আর সেই জরিপের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত নথিকে বলা হয় আর এস পর্চা।
বি আর এস কিংবা এস.এ অথবা সি আর এস যাই বলেন সকল নথির কাজ একই। কারণ এই কাগজ গুলো দ্ধারা জমির মালিকা বা রেকর্ডীয় মালিক চিহিৃত করা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন:-এস খতিয়ান কি ভাবে ডাউলোড করবেন
আর এস পর্চা ও খতিয়ানের মাঝে পার্থক্য কি
আর.এস পর্চা ও আর এস খতিয়ানের মাঝে, তেমন কোনো পার্থক্য নেই আশে শুধু নামের পার্থক্য । মানে উচ্চারণ বা বলার পার্থক্য । মূলত খতিয়ান বা পর্চা একই জিনিস। জমির মালিকানা অংশ ও পরিমান নির্ণয়ের জন্য, বর্তমানে যে নথি ব্যবহার করা হয় থাকে পর্চা বা খতিয়ান বলা হয়। তাই কখনো খতিয়ান আর পর্চাকে দুইটা আলাদা কাগজ মনে করা যাবেনা। যদিও দুটি নাম দেখা বুঝাযায়, তবে সেটা একটাই নথি। যার মাধ্যমে জমির রেকর্ডিয় মালিক নির্ণয় করা হয় থাকে।
আর এস খতিয়ান যাচাই করবো কি ভাবে
আপনি দুই ভাবে এই কাজটা করতে পারেন। প্রথমে অফলাইনে, এর জন্য আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গিয়ে, তাদের মূল ভলিয়মের সাথে মিলিয়ে নিতে পারেন । আবার আপনি চাইরে সেটা অনলাইনেই আর এস পর্চা এ্যাপ এর মাধ্যেও করতে নিতে পারেন।
তার জন্য আপনার আর এস খতিয়ান অথবা দাগ নাম্বার দিয়ে অনুসন্ধান করে আর এস খতিয়ান যাচাই করতে পারেন। আর এস বলে আর এস কিংবা সিএস অথবা বি আর এস সকল পর্চা ডাউলোড করা নিয়ম একই।
আর এস খতিয়ান কি ভাবে কোথায় পাবো
স্মার্ট ভূমি সেবায় এখন ভূমির প্রায় সকল কাজ অনলাইনে করা হয়ে থাকে। এবং প্রায় ডকুমেন্ট অনলাইন হতে সংগ্রহ করা যায়। তার মধ্যে আর এস খতিয়ান একটি নথি যেটা আপনি ঘরে বসে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
land.gov.bd এই সাইডে গিয়ে নাগরিক অপশন থেকে আপনি হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে নির্দিষ্ট ফি প্রাদান করে অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
আর এস পর্চা কি ভাবে ডাউনলোড করবেন
আর এস খতিয়ান ডাউলোড করা আগে আপনাকে যা করতে হবে সেটা প্রথমে জানা প্রয়োজন। প্রথমেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড লাগবে। এবং আপনার একটা মোবাইল সিম সহ থাকতে হবে। যদি থাকে তবে চলেন খতিয়ান ডাউলোড করে।
প্রথমেই আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে যে কোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করেন। এবার সার্চ বক্সে লিখন eporcha.gov.bd অথবা বাংলায় লিখুন খতিয়ান অনুসন্ধান।
আর এস খতিয়ান ডাউনলোড করুন
এবার,উপরের ছবিটি দেখুন এই ফরমটি ওপেন হবে। আপনাকে ধারাবাহিক বিভাগ, জেলা, উপজেলা ,খতিয়ানের ধরণ, মৌজা সিলেক্ট করুন। এবার আপনার খতিয়ান লিখে খুজুন অপশনে ক্লিক করুন।
যদি খতিয়ান নাম্বার না জানা থাকে তবে অধিকতর অনুসন্ধানে ক্লিক করুন এবং সেখানে দাগ নাম্বার লিখে অনুসন্ধান করুন।
দাগ নাম্বার দিয়ে পর্চা কি ভাবে খোজবেন
পর্চা অনুসন্ধান করার জন্য, প্রথমে খতিয়ান নাম্বার দিয়ে সার্চ করার অপশন রয়েছে। যদি আপনি খতিয়ান নাম্বার না পান বা জানা না থাকে, তবে আপনি অধিকতর অনুসন্ধান থেকে, মালিকের নাম লিখে সার্চ করতে পারেন। যদি আপনি সঠিক নাম লিখতে না পারেন, তবে আপনি আপনার জমির দাগ নাম্বার দিয়ে আরএস পর্চা ডাউনলোড করতে পারেন।
আর এস পর্চা ডাউনলোড জমির মালিকের নাম দিয়ে
জমির পর্চা গুরুত্বপূণ্য একটি কাগজ। চাই সেটা এস এ কিংবা আর এস। জমির দাগ নাম্বার কিংবা খতিয়ান কোনটাই জানা নেই সেক্ষেত্রে কি ভাবে অনুসন্ধান করবো। তা হলে আপনি জমির মালিকের নাম লিখে সার্চ করেন। তবে খেয়াল রাখবেন নামটা যেনো খতিয়ানে লিখা নামের বানানের সাথে মিল থাকে। যদি নামের বানানের সাথে মিল না থাকে তবে খতিয়ান খোঁজে পাবেন না।
আর এস এর সার্টিফাইড কপি কি ভাবে পাবো
সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে হলে প্রথমে আপনাকে আপনার স্থানীয় সেটেলমেন্ট অফিসে খোঁজ করতে হবে। যদি না পাওয়া যায় তবে ডিসি অফিসে গিয়ে এডিসি অফিস থেকে আরএস পর্চা সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারেন। অথবা আপনি অনলাইনে অর্ডার করেও সংগ্রহ করতে পারেন।
বি আর এস পর্চা কি
বি আর এস হলো বাংলাদেশ রিভিশনাল সার্ভে। মানে আর এসের পরে যে জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে সেটা হলো বি আর এস। আর এস পর্চা কে অনেকেই বি আর এস পর্চাও বলে থাকেন। মূল এস এ জরিপের পরে এই জরিপগুলো হয়েছে। আর এস ছিলো এস এ এর রিভিশনাল সার্ভে। আর অন্যদিকে বি আর এস হলো আর এস এর রিভিশনাল সার্ভে।
আর এস খতিয়ান দেখতে কেমন
আর এস খতিয়ান কিংবা নামজারি । প্রায় সকল পর্চা দেখতে একই রকম। তবে কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় প্রিন্ট এবং ফ্রন্ট এর দিখে থাকালে। তাছাড়া খতিয়ানে ব্যবহৃত কাগজ দেখলেও কিছু পার্থ্যক্য পাওয়া যায়। যেমন এস.এস রেকর্ড এর সময় যে কাগজ ব্যবহার করা হয়েছিলো, সে কাগজ কিছুটা হলুদ বর্ণের ছিলো। আর বর্তমান প্রিন্ট পর্চা বা আর এস খতিয়ানের প্রিন্ট দেখবেন দবদবে সাধা কাগজে প্রিন্ট করা হয়েছে।
এবার আপনি যদি ফ্রন্টের দিকে লক্ষ্য করেন। তবে দেখবেন আগের রেকর্ড এর ফ্রন্ট এর সাতে বর্তমান ফ্রন্টের মিল নেই। কারণ আগে এগুলো টাইপিং মেশিনে টাইপ করা হতো। আর এখন কম্পিউটারে টাইপ করে প্রিন্ট করা হয় প্রিন্টার এর মাধ্যমে।
তাহলে এখন থেকে খতিয়ান হাতে নিয়ে দেখবেন লিখাটা কেমন, কাগজ কেমন। যদি লিখাটা বর্তমান নর্মাল ফ্রন্টের সাথে না মিলে আর কাগজ কিছুটা হলুদ বর্ণের হয়ে তবে সেটা এস এ পর্চা বা ছাপান্নের রেকর্ড। আর যদি ঠিক এর উল্টো হয়ে যেমন একদম সাদা কাগজ কম্পিউটার দিয়ে টাইপিং করা তবে বুঝে নিবেন আর যাই হোক সেটা এস নয়। সেটা হবে প্রিন্ট পর্চা বা আরএস পর্চা।
ইতিকথা
খতিয়ান ডাউলোড বা আর এস খতিয়ান অনুসন্ধান যাই বলেন। আজকে আমরা সে বিষয়ে বিস্তারিত আরোচনা করা চেষ্টা করেছি। আশাকরি আর এস খতিয়ান নিয়ে আর ঝামেলায় পড়তে হবেনা। এর পরেও যদি ঝামেলায় পরেন তবে আমার সোসাল মিডিয়ায় এড হতে পারেন । আপনার সমস্যা আমাদের শেয়ার করলে আমরা আপনাকে সাহায্য করা চেষ্টা করবো।
তাহলে আজকের এই পোষ্টে আমারা শিখলাম কি ভাবে আর এস পর্চা ডাউনলোড করতে হয়। আর এস পর্চার সাথে আমরা বি আর এস ও এস পর্চা নিয়ে কিছু জানতে পেরেছি। আশাকরি আপনার কাজে আসবে। যদি আপনার কাজে আসে তবে আপনার বন্ধকে পাঠাতে বুলবেন না। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। দেখা হবে আরো কোনো নতুন টপিক নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
FAQS
- আর এস পর্চা ডাউলোড করতে কি কি লাগবে
- উত্তর- আপনার ভোটার আইডি কার্ড, মোবাইল নাম্বার ,
- খতিয়ান অনুসন্ধানে জন্য লিংক কোনটি
- উত্তর- খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য লিংক টি হলো eporcha.gov.bd
- R.S এর পূর্ণ রুপ কি
- R.S এর পূর্ণ রুপ হলো রিভিশনাল সার্ভে